1989 সালে খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার শেষপ্রাপ্ত এবং উপকূলীয় দাকোপ উপজেলার সংলগ্ন বুনরাবাদ গ্রামে অতি দারিদ্র্য পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন দিপক কুমার মন্ডল। ছাত্র হিসাবে অনেক মেধাবী হওয়ার পরেও কৃষিশ্রমিক পিতার দরিদ্রতা এবং অসুস্থতার কারণে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পরে নিজের পড়ালেখা চালিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। তারপর সংসারের সব ভাই বোনের সমস্ত দায়িত্ব তার কাঁধে এসে পড়ে। পড়ালেখা জানা এবং মেধাবী ছাত্র হিসাবে গ্রামে তার নামডাক ছিল, যার কারণে কেউ তাকে দিয়ে কৃষিশ্রমিক হিসাবে বা দিনমজুরের কাজে নিতে আগ্রহী ছিল না। কোন রকম দিনমজুরের কাজ করেও সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছিলেন। হতাশা আর দু:শ্চিন্তা তাকে তাড়া করে ফেরে কয়েক বছর। সমাজসেবা অধিদপ্তরের উন্মুক্ত পদ্ধতিতে ভাতাভোগী নির্বাচনের জন্য উপজেলার সুরখালী ইউনিয়নের ০৯ নং ওয়ার্ডে উন্মুক্ত সভায় দিপকের সাথে পরিচয় হয় ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা ইউনিয়ন সমাজকর্মীর। এবং আশার আলো হিসাবে সে সমাজসেবার সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের সন্ধান পেয়ে যায়। তার সবলদিক হিসাবে ঐষধের দোকান পরিচালনার ডিপ্লোমা করা ছিল। কিন্তু সে কিছুতেই উদ্যোগ গ্রহণের পুঁজি পাচ্ছিলো না। ইউনিয়ন সমাজকর্মীর পরামর্শে সে স্থানীয় কর্মদলে সংযুক্ত হয়ে যায় এবং ২০১৯ সালেই তাকে প্রথমে ঔষধের দোকান স্কীমে মাত্র ১৫০০০/- (পনের হাজার) টাকা প্রথমবার তাকে প্রদান করা হয়। পরিশোধের পর আবারও ১৫০০০/- টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। এবং সে লেখাপড়া জানা মানুষ হিসাবে তার নতুন উদ্যোগ হিসাবে ঔষধের দোকান থেকে লভাংশ দিয়ে মাত্র ৫০০০ (পাঁচ হাজার) পিচ গলদার পোনা পকেট ঘেরে দিয়ে সৌভাগ্যক্রমে প্রায় ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা আয় করেন। তার সফলতার বিষয়টি স্থানীয় মানুষের মধ্যে আলোচনার এবং উৎসাহের সৃষ্টি করে। বর্তমানে সমাজসেবার ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে বহু সফলতার গল্পের ভীড়ে দিপক কুমার মন্ডল স্বল্প সময়ে সাফল্যের অন্যান্য সেরা নজির। সে সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন যে, “এলাকার বেকার কর্মক্ষমদের জন্য ঋণের পরিমাণটা যদি আরও বেশি পেতাম, তাহলে অনেক ভালো হতো”। তার মোবাইল নম্বর: ০১৯২৯-৬৬০৩৮৮
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS